যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হতে নিকলী উপজেলার দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। নিকলী উপজেলা কিশোরগঞ্জ জেলার মানচিত্রের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে অবিস্থত। বর্তমানে সড়ক পথে নিকলী থেকে সারা বছরই জেলা সদরে যাতায়াত করা যায় । ফলে নিকলী থেকে রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রাম, সীমান্তবর্তী অঞ্চল সিলেট, সাবেক বৃহত্তর জেলা ময়মনিসংহ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সমূহে বাস চলাচলে সড়ক পথে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে । বর্তমানে নিকলী থেকে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতিদিন সকাল -সন্ধ্যা বাস চলাচল করে, তবে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখন ও এ অঞ্চলে সড়ক পথ থেকে নদী পথ অত্যন্ত উন্নত এবং অন্যতম। নিকলী থেকে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ভৈরবের সাথে নদী হতে মালবাহী ও যাত্রীবাহী নৌকা ও লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। নিকলী সদর ও পুড্ডা বাজারে মোট দু টি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে । ঢাকা থেকে ভৈরব ভায়া কটিয়াদী রোডে পুলেরঘাট হয়ে নিকলী উপেজলার দূরত্ব ভৈরব উপজেলা হতে ৫৮ কিলোমিটার । ঢাকা হতে সড়ক পথে যেমন তিন ঘণ্টায় বাসে চড়ে আসা যাওয়া যায় ,তেমনি রেল লাইনে হচিহাটা রেল স্টেশন থেকে সহজেই নিকলীর সাথে ঐ তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে অনায়াসে আসা যাওয়া করা যায় । নিকলী উপজেলায় কোন রেল লাইন না থাকায় ঢাকা টু কিশোরগঞ্জ পথে আন্তনগর এগারসিন্দুর সার্ভিসের মাধ্যমে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার পথে বাজিতপুর, সরারচর, মানিকখালী অখবা হচিহাটা রেল স্টেশনের মাধ্যমে নিকলী উপজেলার সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে । অপরদিকে নদীপথে নিকলী চন্ডিখালী লঞ্চ ঘাট থেকে দক্ষিণে ভৈরব অআর উত্তর দিক ইটনা সাচনা পর্যন্ত যাত্রীবাহী লঞ্চ ও মালবাহী কার্গো নৌকা চলাচল করে থাকে। কাচা সড়কঃ ২০০ কিঃমিঃ ,আধা পাকা ১৫ কিঃমিঃ ,পাকা সড়ক ২২ কিঃমিঃ, ব্রীজ সংখ্যা ১৫ টি। এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আজ ও কথায় আছে- বর্ষায় নাও, আর হেমন্তে শীত মৌসুমে পাও হলো ভরসা। এ ছাড়া ও গুদারা নৌকা আর সেই ডিংগি নৌকা ,রিকসা, ইঞ্জিন চালিত নৌকা ট্রলার ,স্থানীয় উদলা নৌকা, ঠেলা গাড়ি,ভ্যান ছাড়াও ইঞ্জিন চালিত ভটভট টেম্পু, বাস ইত্যাদি বর্তমানে চলাচল করে। কৃষি কাজের বলদ ষাড় দিয়ে এখন ও গরুর গাড়ি ,মহিষের গাড়ি চলাচলের প্রচলন রয়েছে। সনাতন যানবাহন হিসেবে সেই পালকি, মাফা , ঘোড়ার গাড়ি ,গয়না, পানসি ইত্যাদির প্রচলন এখন বিলুপ্ত ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস